Thursday, June 14, 2012

হিজবুল্লাহ - হিজবুল্লাহর শান - হিজবুল্লাহর সফর


হিজবুল্লাহ

আল্লাহ এবং তাঁর সমগ্র সৃষ্টি মিলেই হিজবুল্লাহর শান
আল্লাহ এবং তাঁর নিকট সমর্পিত-অনুগত বান্দা মিলেই হিজবুল্লাহর সফর


হিজবুল্লাহর শান

হিজবুল্লাহ কোন দল নয়, কোন সংগঠন নয়,
কিছু লোকের সমবায়ও নয়;
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, সাংস্কৃতিক প্রচারণা, বিত্তবৈভব অর্জন –
কোনটার সাথেই এর কোন সম্পর্ক নেই।

সমগ্র সৃষ্টির প্রতিটি মানুষ,
এমনকি ভাষাহীন বৃক্ষলতা, প্রাণীকূল,
আল্লাহর এক একটি স্মারক চিহ্ন “আয়াতুল্লাহ”।

মহত্তম সৃষ্টি হিসাবে মানুষ তথা সমাজের
প্রতি স্তরের প্রতিটি মানুষই হিজবুল্লাহ।

প্রতিটি মানুষই মূলতঃ  ভাল, মংগলময়
– বিধাতার ঐশী স্ফুলিংগ;
অবস্থাচক্রই তার আত্মার মলীনতার কারণ।

গ্রন্থের পংতিমালায় যা কিছু আছে
তা মানুষেরই আত্মার পরিচয় – আর্তনাদ
নিজ  বাসভূমি আল্লাহর ইশকের চিরকালীন
নিকুঞ্জে ফিরে যাওয়ার আকুতি –
এ মরদেহ মাটিতে মেশার আগেই।


হিজবুল্লাহর সফর

আমি সেই নগ্নপদ ঘোড় সওয়ার
যার দুধারী কৃপাণ কখনো কোষবদ্ধ হয়না,
স্বেদ ও  শোনিতে ঘষে নেয়া যে কৃপাণ
মূহুর্তে বুঝে নেয় মানবতার শত্রু আর মিত্রের ফারাক।

আমি সেই মুসাফির
যে কখনো সতৃষ্ণ কন্ঠ সম্পূর্ণ  ভিজিয়ে নেয়না
পরিপূর্ণ সোরাহীর জলে।

যাকে মঞ্জীল বলে মনে হয়,
যাকে মনে হয় স্নেহ ছায়া নীড়,
সেখানে পৌছে দেখি এখনো অনেক পথ বাঁকী,
এখনো চলতে হবে বহু দূর,
অহল্যার রাজপথে তাই আমার ক্ষীপ্র বিচরণ।

রক্ত বিন্দু ফেটে পড়ে স্বেদ বিন্দু হয়ে,
চোখের সকেটে জমে আছে বিনিদ্র রাতের কালি।
হ্রদয়হীনতায় চলতে গিয়ে আমার দুপায়ে গ্যাংরীন।

তবুও সেই কর্দমাক্ত ক্ষয়ে যাওয়া পদ নখে সেদিন দেখলাম
তপ্ত সূর্যের প্রতিফলনে ঝলসে উঠে যে জ্বালওয়া,
তাতেই মুর্ছা গেল স্বর্গের সত্তুর হাজার হুর পরী গেলমান,
খসে পড়ল তাদের বাজু-বন্ধন,
দীদার প্রার্থী পথিকের সেইতো গোপন রহস্য,
তার দ্বার ও মোকাম।

তথাস্ত। এই হোক মোর জীবনের অরিন্দম গান,
ক্রমাগত আত্মমগ্ন, আত্মসমর্পন।।