Thursday, February 20, 2014

ধর্ম শিক্ষাই হল জাতীয় শিক্ষা; ঐশ্বরীক গ্রন্থই মানবতার জ্ঞানে পরিপূর্ণ -মওলানা আব্দুর রহমান ফারুকী (৭৮)

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানবরূপী পশুদেরকে মানুষ বানাবার নিমিত্তে ঐশ্বরীক গ্রন্থ প্রেরণ করেছেন

ঐশ্বরীক গ্রন্থের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা অনুচিত নিখিল সৃষ্টির শান্তি-শৃংখলার সনদ ঐশ্বরীক গ্রন্থ আমি তোমাদেরকে সাবধান করছি ইয়াযিদ সর্বপ্রথম ক্ষমতার লোভে মুসলিম ইতিহাসকে কলংকিত করেছে আমরা বর্তমানে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে উপনীত আর আগাইও না, দাজ্জালের প্রিয়ড চলছে, আল্লাহ তোমাদের সত্য উপলব্ধি করতঃ তাঁহার পথে চলার তৌফিক দান করুন

(আল্লামা আদম) বাবা আদম (আঃ) কে আল্লাহ মানবিক জ্ঞান দান করে পুর্নাংগ আদম বানিয়েছেন ... নবী-পয়গম্বর (আঃ)-রা সবাই বলেছেন, আল্লাহ থেকেই আমরা শিখেছি যা তোমরা জান না নবী রাসুল (আঃ) আল্লহর পক্ষ থেকে দেওয়া পোষ্ট পদবী বা উহদা তাঁরা মানব জাতির শিক্ষাদাতা ওস্তাদ শিক্ষাগুরু

ধর্ম শিক্ষাই হল জাতীয় শিক্ষা অধর্ম কোন শিক্ষনীয় বিষয় নয় ধর্মের অবর্তমানের নামই অধর্ম আলোর অবর্তমানের নামই অন্ধকার বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, আমি এই পৃথিবীতে একজন শিক্ষক হিসাবে প্রেরিত হয়েছি আল্লাহ পৃথিবীতে ধর্মগ্রন্থ নাযিল করেছেন নবী রাসুল পয়গাম্বর (আঃ) হলেন মানব জাতির শিক্ষাগুরু ঐশ্বরিক গ্রন্থ হল মানব জাতির শিক্ষা কোর্স বা পাঠ্যবস্তু এটাই বাস্তব সত্য ...

প্রাণীগণ জন্মগতভাবে বিদ্যাসম্রাট জন্মগতভাবেই সকল প্রাণী বৈষয়িক জ্ঞানের অধিকারীতা না হলে প্রাণীজগতের অস্তিত্বই রক্ষা পেত না জন্মগতভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ৫টি জ্ঞান ইন্দ্রীয় প্রদান করেছেন অর্থাৎ আমরা সবাই আল্লহর কুদরতের হাতে অবস্থান করছি এটাই জন্মগত বা পাশবিক জ্ঞান অতএব আল্লাহ আমার রব রব- আমার সব

-
মওলানা আব্দুর রহমান ফারুকী (৭৮),
শিক্ষা শুদ্ধি অভিযান,

বাগুচি মাদ্রাসা, মাধাইয়া, চান্দিনা, কুমিল্লা

Thursday, February 13, 2014

সুফী ও মোহাক্কেকীনরা বান্দাকে আল্লাহর সাথে জোড়েন, আল্লাহর অনুগত করেন।

অদ্য আমাদের এক নামকরা সাংবাদিক বন্ধু ফোন করে একজন ৭৮ বছর বয়স্ক দেওবন্দী আলেমকে পাঠিয়েছিলেনযিনি শিক্ষাজীবনে পীরজী হুজুর (রঃ)এর প্রিয় ছাত্র ছিলেন  তিনি বললেনঃ

সুফীরা আল্লাহর প্রেমে প্রেমাসক্ত করে বান্দাকে আল্লাহর সাথে জুড়ে দেন

মোহাক্কেকীনরা আল্লাহর বিধানের যৌক্তিকতায় সন্তুষ্ট করে বান্দাকে আল্লাহর গোলামীর পথে পরিচালিত করেন

মেটেরিয়ালিজম খতম করে পাওয়ারিজম (সর্বশক্তিমানের উপর ভরসা) কায়েম না হলে মানব জাতি ধ্বংসাত্মক পথ থেকে বাঁচবে না

তাই পেট সর্বস্ববাদ খতম করে মানববাদ তথা একত্ত্ববাদ কায়েম করার সংগ্রাম

ইয়াযিদি ইসলাম বর্জন করে হযরত হোসাইন (রাঃ)এর ঝান্ডা না ধরলে উম্মত ধ্বংস থেকে উদ্ধার পাবে না

সংবিধান প্রনয়ন করা সাধারণ মানুষের কাজ নহে; ইহা অতিমানব বা মহামানবের কাজ এই বাস্তব সত্য না বুঝিয়া হীন স্বার্থ চরিতার্থ করিবার জন্য ধর্ম রাজনীতির নামে স্বজাতিকে টুকরা টুকরা বিভক্ত করিয়া জাতীয় অস্তিত্ব বিলুপ্ত করা হয়

শিক্ষা নিরাকার অলৌকিক ... শিক্ষা, বিদ্যা, বাকশক্তি, শ্রবনশক্তি সকল ছোট ছোট শক্তিগুলি মহাশক্তির নিয়ন্ত্রনে বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা শব্দটি ভুল অর্থে ব্যবহার করা হইতেছে

অল্পে তুষ্টি সর্বদা আল্লাহর পবিত্র নামের জিকিরের রসের দ্বারা জিহ্বাকে সিক্ত রাখি

উল্লেখিত মুরুব্বীর নাম ঠিকানাঃ
মওলানা আব্দুর রহমান ফারুকী (৭৮),
শিক্ষা শুদ্ধি অভিযান,

বাগুচি মাদ্রাসা, মাধাইয়া, চান্দিনা, কুমিল্লা

Monday, February 10, 2014

উম্মতের ঐক্যবদ্ধ থাকার কৌশল - মতপার্থক্য সত্বেও ছবর এখতিয়ার করার নির্দেশ (পবিত্র ক্বোরাণ, সুরা আনফাল, আয়াত নং-৪৬)

পবিত্র ক্বোরাণ, সুরা আনফাল, (আয়াত নং-৪৬)

আর আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, আর তাঁর রাছুলের।
তাছাড়া তোমরা পরস্পর বিবাদে লিপ্ত হইও না।
যদি তা কর (অর্থাৎ যদি বিবাদে লিপ্ত হও), তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে।
আর তোমরা ধৈর্য ধারণ কর।
নিশ্চয়ই আল্লাহ রয়েছেন ধৈর্যশীলদের সাথে।

=

তফছীর, হযরত মুফতি মুহাম্মদ শাফী (রঃ), তফছীরে মারেফুল ক্বোরানঃ-

এক্ষেত্রে ক্বোরাণে করীম ‘ওয়ালা তানাজাঊ’ বলেছে। অর্থাৎ পারস্পরিক বিবাদ-দ্বন্দ্ব থেকে বিরত করেছে, মতের পার্থক্য কিংবা তা প্রকাশ করতে বাধা দেয়নি।

যে ক্ষেত্রে মতপার্থক্যের সাথে সাথে নিজের মত অন্যকে মানাবার প্রেরণা কার্যকর থাকে তাকেই বলা হয় বিবাদ ও বিসংবাদ।

আর এটিই হল সে প্রেরণা যাকে ক্বোরাণ করীম – ‘ওয়াছবেরু’ শব্দে ব্যক্ত করেছে এবং সবশেষে ‘ছবর’ অবলম্বনের এক বিরাট উপকারিতার কথা বলে এর তিক্ততা দূর করে দিয়েছে যে, ‘ইন্নাল্লাহা মা আস ছবেরীন’ (যারা ছবর তথা ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ তাদের সংগে রয়েছেন।)


দ্রষ্টব্যঃ পৃষ্ঠা-৫৩৬, তফসীর মারেফুল ক্বোরান, হযরত মওলানা মুফতি মুহাম্মদ শাফী (রঃ), বংগানুবাদ – মওলানা মুহিউদ্দীন খান, প্রকাশক-সৌদী বাদশা।